Properties of a Freelancer:
আজ আমি আপনাদের সাথে একটি
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শেয়ার করব। বিষয়টি হল একজন সফল Freelancer হতে হলে যে যে
বৈশিষ্টগুলি থাকা লাগে সেগুলি আপনাদের কাছে তুলে ধরব। এই কথা গুলো না জানার কারনে অনেক মানুষই প্রথমে অনেক আশা
নিয়ে Freelancing শুরু করলেও পরবর্তীতে বেগ পেতে হয় বা Freelancing এর উপর থেকে আশা
হারিয়ে ফেলে। এখানে, আমি Freelancing এর প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী ৭টি বিষয় তুলে ধরলাম। একটু মনযোগ দিয়ে পড়ুন। হতে ও তো পারে, এর কোনো একটি ব্যাখা আপনার ভবিষ্যৎ Freelancing জীবনকে আরো সুন্দর বা আপনার ভুলগুলোকে
ঠিক করে দিতে পারে। আমি এটা বলছি না যে, এর একটির অভাবে
আপনি Freelancing করতে পারবেন না, তবে আপনি যে পদে
পদে আটকে যাবেন এটা নিশ্চিত। তো অনুগ্রহ
করে নিন্মের বিষয়গুলো মনোয়োগ সহকারে পড়ুন।
১। আপনি একজন
শ্রমবিমুখঃ
এটা নিশ্চিন্তে বলা যায় যে, একজন Freelancer এর সবচেয়ে বড় দূর্বলতা হলো অলসতা। আমি অলসতা বলতে, ঘরে বসে বিনোদন করা বা ঘরে বসে ভিডিও গেমস খেলার কথা বলছি না। আপনি যদি কাজ নিয়ে অলসতা করেন বা নিয়মিত কাজ না করে অন্য কিছু করে বেড়ান তবে সেটাই হলো আপনার অলসতা। মনে রাখবেন যে, আপনার উপর এবং আপনার দেশের মানুষের পূর্ববর্তী কাজের অভিজ্ঞতা
আলোকেই আপনি কাজ পান। আর আপনার কোনো অধিকার নেই যে আপনি, কাজ নিয়ে মজা করবেন আর নিজ দেশের মানুষের রের্কড খারাপ করবেন। একবার নিজের দিক থেকে চিন্তা করুন যে, আপনি কাউকে দিয়ে কাজ করান আর সে প্রতিক্ষন আপনার সাথে কাজ
নিয়ে অলসতা করছে, আপনার কেমন লাগবে? Freelancing
করার প্রধান শর্তই হলোঃ কাজের প্রতি অকৃত্তিম ভালবাসা। এক কথায়, আপনি যদি কর্মঠ না হোন তবে, ভুলেও Freelancing করে সময় নষ্ট করবেন না।
২। কালক্ষেপণতাঃ
সমাজে কিছু অলস লোক ছাড়া প্রায়
প্রত্যেকটি মানুষই তাদের সকল কাজ সময় মতো শেষ করতে চায় এবং চেষ্টা করে। কিন্তু মানুষ ইচ্ছা করলেই সব কিছু তার ইচ্ছামতো করতে
পারে না। হয়তো, কালক্ষেপণতা এমন একটি খারাপ গুন যা, মানুষের ইচ্ছাকৃত নয়। আপনি হয়তোবা বলতে পারেন যে, আপনি কালক্ষেপণতা করেন না কিন্তু, আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি যে, আজ পর্যন্ত একবার হলেও কালক্ষেপণতা করেছেন। উদাহরণস্বরূপঃ “আপনার কোনো বন্ধু আপনার নিকট একটি নোট চাইল,
এখন আপনি ভাবলেন নোটটি আজ না দিয়ে কাল দিলেও হবে। তাই অন্য কাজ করিগে যাই।” কাজ করার আগেই যদি তা থেকে মুক্তি পাবার বিকল্প
পথ নিয়ে ভাবতে থাকেন তবে আর যাই পারেন, Freelancing করতে পারবেন না। Freelancing -এ প্রত্যেকটি কাজ়ের একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা রয়েছে। আপনি কখনোই কাজ থেকে পালিয়ে বাঁচতে পারবেন না। তাই, আমাদের সকলেরই উচিত প্রত্যেকদিনের কাজের একটি আলাদা রুটিন তৈরী করে দিনের
কাজ শুরু করা।
৩। নিয়মণনষ্ঠার অভাবঃ
আপনি যদি নিজের
কাজ নিজে ভাগ এবং সেই সব কাজ সময়মতো শেষ করতে না পারেন তবে Freelancing থেকে দূরে থাকুন। বিভিন্ন অভিজ্ঞ Freelaner রা বলেছেন, Freelancing
হচ্ছে পৃথিবীর অন্যতম কঠিন কাজ। আপনার হয়তোবা
অনেক অলস সময় থাকতে
পারে,
কিন্তু এখানে সময়ের সাথে
কাজের দক্ষতা এবং তার ও আগে আপনার কাজের প্রতি ভালবাসা জরুরী। নিয়মনিষ্ঠতা একজন সফল মানুষের মনে বাস করে। যদি,
সময়ের মূল্য না জানেন বা
না দিতে পারেন তবে, জীবনের খাতায়
০/০ পাবার জন্য তৈরী থাকুন।
৪। আনাগ্রহতাঃ
যেকোনো অফিসের জন্যই
হোক বা নিজের জন্যই হোক জীবনে সফল হবার জন্য কাজ করার আগ্রহ এবং কাজের জন্য ভালবাসা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। Freelancing এর ব্যাতিক্রমী নয়। আপনি যদি Freelancinf নিয়ে সিরিয়াসলি না ভাবেন বা আগ্রহী না হোন , তবে আপনার Claints রা কখনোই আপনার থেকে তাদের ব্যয়কৃত অর্থের
সমপরিমান কাজ বুঝে পাবে
না। এবং আর কখনোই আপনাকে আর কাজ দেবে না। আগ্রহ বলতে কেবল মাত্র, আপনার ভাললাগা
বা মন্দলাগার অনুভূতি নয় কাজের প্রতি আসক্তিকে বুঝায়। এই পৃথিবীতে এমন অনেক মানুষ আছে যারা প্রতিদিন তাদের
নিজেদের স্বার্থের জন্য নিজেদের
অপছন্দের কাজ করে যাচ্ছে, শুধুমাএ একটি
পার্থক্য রয়েছে যে তারা তাদের
কাজকে ভালবাসার সহিত করে। আপনি যদি সত্যই
একজন সফল Freelancer হতে চান এবং মনে প্রানে বিশ্বাস করেন, আপনি একদিন সফল হবেনই তবে আপনি অবশ্যই একদিন একজন সফল Freelancer হতে
পারবেন।
৫। আঙ্গুল ফুলে কলাগাছঃ
কেউ যদি ভেবে থাকেন
যে,
Freelancing করে ঘরে বসে একা
একা কাজ করে এক লাফেই বড়লোক হওয়া যায়, তবে এটা বলে রাখা ভাল যে, Freelancing করা এক রাতের কাজ না। এর জন্য প্রয়োজ়ন কঠোর পরিশ্রম। Freelancing
Sector টিতে সফল বা ভালো একটা
Position এ যাবার জন্য অনেক সময় প্রয়োজন। আপনি যদি আপনার মস্তিষ্কের
সম্পূর্ন ব্যাবহার ঘটাতে পারেন, তবে আপনার জন্য Freelancing একটি উন্মুক্ত দ্বার। কাজের উপর বিশ্বাস, ধৈর্য এবং কঠোর
পরিশ্রমই পারে যেকোনো কাজে
সফলতা বয়ে আনতে।
6।
ননীর পুতুলঃ
দুঃখ বিনা কখনো সুখ প্রাপ্তি
হয় না। যেকোনো কাজের জন্য কাজ করার মানসিকতা এবং তার
জন্য কষ্ট করার মতো
মনোবল থাকা অত্যন্ত জররী। মাঝে মাঝে Claints
দের কিছু কঠিন Deadline থাকে যার মধ্যে কাজ শেষ করা
কষ্টসাধ্য হলেও অসম্ভব নয়। এমন কাজ করার মানসিকতা সবার মধ্যে থাকে না। ফ্রীল্যান্সিং কাজটিকে যতটা সোজা মনে হয় এটি ততোটা সোজা নয়, যথেষ্ট কঠিন এবং ধৈর্যের অধিকারী না হলে, Freelancing করা সম্ভব না। Freelancing-এ বিভিন্ন দেশের, বিভিন্ন মন-মানসিকতার Claints পাওয়া যায়, এদের সাথে মানিয়ে চলার মতো প্রবৃত্ততা থাকতে হবে।
৭। স্বার্থপরতাঃ
Freelancing এবং Freelancer দের পরম শত্রু হলো, কার্পণ্যতা। মাঝে মাঝে বৃহত্তর স্বার্থ রক্ষার জন্য কিছু কাজ ফ্রী তে করা উচিত। স্বার্থবাদীতার জোরে খুব বেশী দূর যাওয়া সম্ভব নয়। মাঝে মাঝে ক্ল্যায়ন্টসদের অর্থনৈতিক এবং তাদের দেশের কাজের অর্থনৈতিক দিক বিচার বিবেচনা করে কাজের মূল্য
ধারন করা উচিত। সর্বদা বড় বড় ক্ল্যায়ন্টসদেরই নয়, বরং কিছু ছোটো ক্ল্যায়ন্টসদেরও কাজ করা উচিত। যদি, মনের মধ্যে
অর্থের লোভ সামলাতে নাই পারেন আর যাই করেন, ফ্রীল্যান্সিং করতে আসবেন না। এটা হাতের মোয়া না, অনেক কষ্ট করে
মানুষ একটা কাজ পায় এবং তা পূরন করে।